রঞ্জন রা কখনো মরে না বেঁচে থাকে আমাদের মধ্যে, সমাজকে কলুষতার বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে, পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সমাজকে সঠিক দিশা দেখাতে, মানুষের স্বাধীন ভাবনা-চিন্তার জগতে শাসকের পরাধীনতার সূক্ষ্ম আচ্ছাদন থেকে মুক্ত করতে,সামাজিক-মনস্তাত্ত্বিক-সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, অন্য কোন এক সময়কে সঙ্গে নিয়ে রঞ্জন আসবেই......... বহুত্ববাদীর অমোঘ থাবা আমাদের সহজ দৈনন্দিন যাপনের অনেকটাই গ্রাস করে ফেলতে পারে, কিন্তু আমাদের মানবিক অস্তিত্বকে এখনও পুরোপুরি বিলুপ্ত করতে পারে না। সময়ের সুকঠোর অভিঘাত আর ঘেঁটে-যাওয়া বাজারী রাজনীতির নিকৃষ্ট মানসিকতার প্যাঁচ-পয়জারের হীন কশাঘাত প্রতিনিয়ত আমাদের কোন না কোনভাবে আমাদের সহজ-সরল অস্তিত্বকে ছুঁড়ে ফেলে ঘোর সঙ্কটের গহ্বরে। সেই চূড়ান্ত সঙ্কট কাটিয়ে উঠেও আমাদের বেঁচে থাকতে হয়। মরে যাওয়ার মুহূর্তেও বিষন্ন ঠোঁটে ভেসে ওঠে জীবনের গান।
যথেচ্ছ দুর্নীতির পাহাড়ের নীচে চাপা পড়ে যাওয়া রানীনগর মিউনিসিপ্যালিটি এলাকার খেটে-খাওয়া, ভাঙাচোরা মানুষগুলোর প্রত্যেকের জীবনের ছেঁড়া ছেঁড়া ধূসর রোজনামচা হয়তো তেমনভাবেই বেঁচে থাকার এক উদাসীন আখ্যানকাব্য। এই রানীনগরের শেষ-হয়ে-যেতে-বসা মানুষজগুলো প্রতিনিয়ত অস্তিত্বসঙ্কটে জর্জরিত হতে হতেও এমনই এক পরণকথা হয়ে বেঁচে থাকে। তাদের জীবন-জীবিকা, শিক্ষা-সংস্কৃতি সবই চূড়ান্ত সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে। তবুও তার মধ্যেই তারা মানুষ হয়ে মানুষের পাশে থাকার ইতিবাচক ভাবনায় সম্পৃক্ত থাকে।
কল্পকথার জগত ছেড়ে আজকের কঠোর বাস্তবের দিকে চোখ মেলে তাকালে স্পষ্টতই অনুভব করা যায়, 'রক্তকরবী'-র সে যক্ষপুরী আজও আছে। আছে রাজার নির্মম শাসনে রাজকর্মচারীদের হাতে নিরন্তর শোষণের পরম্পরাও। এখন আর শুধু নন্দিনী একা নয়, রজনের প্রতীক্ষায় অধীর আগ্রহে রক্তিম দিগন্তের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন অধ্যাপক। রয়েছে চন্দ্রা, কিশোর এবং আরও আরও অনেকে। তারা সবাই আজও মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে, রঞ্জন আসবেই। একদিন না হয় একদিন আসবেই উজ্জ্বল লাল টুকটুকে সূর্যের দিন।
তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীন পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমির সহায়তায়
সুভাষগ্রাম আবির্ভাব থিয়েটার প্রযোজিত নবনাট্য
নাটক:- অন্য কোন সময়
নাটক :- সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়
সিনোগ্রাফি ও নির্দেশনা:- ড: বিশাল ভট্টাচার্য্য
আলো:- বাবলু সরকার
আবহ:- সব্যসাচী পাল
মঞ্চ নির্মাণ:- রিচিক বাগচী
অভিনয়ে:-
দীপ ভৌমিক, তিয়াসা চট্টোপাধ্যায়, সাগর বণিক, সৌরভ দাস, দীপক চ্যাটার্জী, সৌমিত্র গুপ্ত, গোপাল বিশ্বাস, প্রতীক মোদক, পিংকি দাস।
First come first serve.